প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা তথ্য সম্ভার
A plenty of information about prize bond
প্রাইজবন্ড এর জানা অজানা সকল খুঁটিনাটি বিষয় প্রশ্ন উত্তর আকারে নিচে আলোচনা করা হলো-
- বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড কখন চালু হয়?
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাইজবন্ড সর্বপ্রথম চালু হয় ১৯৭৪ সালে। প্রথম চালুকৃত প্রাইজবন্ডের মূল্যমান ছিল ১০ ও ৫০ টাকা। ১৯৯৫ সালে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু হওয়ার পর থেকে ১০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড তুলে নেওয়া হয়।
- প্রাইজবন্ড ড্র 'র ফলাফল কোথায় পাওয়া যায়?
১০০ টাকা মূল্যের প্রাইজবন্ড ড্রর এর ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েব সাইটে "https://www.bb.org.bd/investfacility/prizebond/pbsearch.php" । ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে আমাদের ওয়েব সাইটেও ফলাফল পাওয়া যায়।
-
বাংলাদেশে কত ধরনের প্রাইজবন্ড চালু আছে?
ভারত ও পাকিস্তানে ১০০ থেকে ৪০ হাজার রুপি মূল্যমানের আট ধরনের প্রাইজবন্ড থাকলেও বাংলাদেশে সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই ২৬ বছর পর্যন্ত শুধু মাত্র ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড চালু আছে।
-
কি পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়?
প্রতিটি সিরিজের জন্য একই নাম্বার বা একক সাধারণ পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রাইজবন্ড ড্র কোন মাসে হয় পেজে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।
- প্রাইজবন্ডের রসিদ বলতে কোনটি বুঝায়?
প্রাইজবন্ডের রসিদ ইহা আলাদা কোন ক্যাশমেমো বা ভাউচার নয়। প্রাইজবন্ডের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে সিল দেয়া থাকে তাকেই প্রাইজবন্ডের রসিদ বলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিল না থাকলে সেই প্রাইজবন্ড কখনো পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসপিসিবিএল) গাজীপুরে অবস্থিত কারখানা থেকে প্রাইজবন্ড ছাপানো হয়।
এসপিসিবিএল একটি সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান যা নিরাপত্তা মুদ্রণ সামগ্রী তৈরিতে বিশেষজ্ঞ।
প্রাইজবন্ড ছাড়াও, এসপিসিবিএল টাকা, চেক, স্ট্যাম্প, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র ইত্যাদি ছাপায়।
- ব্যাংকে যেগুলো রিটার্ন করার হয়, সেগুলো কি ড্রর এর আওতাভুক্ত?
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেগুলো একবার বিক্রি হবে সেগুলো ড্রর আওতাভুক্ত। আমি আপনি কেনার পর আবার কোন ব্যাংকে রিটার্ন করলে সেগুলো ড্র এর আওতাভুক্ত। সেখান থেকে কোনো নাম্বার বিজয়ী হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার দাবিদার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রি হওয়ার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।
-
পুরাতন ”ড্র” রেজাল্ট কোথায় পাওয়া যাবে?
দুই বছরের বেশি পুরাতন ”ড্র” রেজাল্ট আমাদের ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে।
Prize Bond "জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর" পণ্য হলেও পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারের পক্ষে প্রাইজবন্ডের যাবতীয় কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Prize Bond হস্তান্তরযোগ্য এবং স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে বন্ড এর ধারকই বন্ডের মালিক। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিক্রয় হওয়ার পর যার কাছে প্রাইজবন্ড থাকবে সেই এটার মালিক।
Only that Prize Bond whose date of issuance is at least 60 days prior to the draw date is eligible for draw.
পুরস্কারের অর্থ নগদ পরিশোধ করা হয় না, প্রাপকের ব্যাংক হিসাব নাম্বারে পে অর্ডারের মাধ্যমে পুরস্কারের অর্থ পরিশোধ করা হয়।
বর্তমানে ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০টাকা মূল্যমানের ছেঁড়া বা বিকৃত প্রাইজবন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন অফিসে জমা দেয়া যায়। বিনিময় যোগ্য হলে বন্ডে মূল্যমান অনুযায়ী বিনিময় মূল্যে নগদ অর্থে পরিশোধ করা হয়।
প্রাইজবন্ড ক্রয় করলে কোনো ধরনের বিনিয়োগ কর রেয়াত বা সুদ/ লভ্যাংশ পাওয়া যায় না। আয়কর আইন, ষষ্ঠ শিডিউল, পার্ট বি, ২৮ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড বিনিয়োগে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যেহেতু প্রাইজবন্ড ট্রেজারী বন্ডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেহেতু প্রাইজবন্ড ক্রয়, বিনিয়োগ কররেয়াতযোগ্য নয়। সরকার অনুমোদিত ট্রেজারী বন্ড শুধু মাত্র বাংলাদেশে ব্যাংকে নিবন্ধিত Primary Dealers (PD) নিলামের মাধ্যমে কিনতে পারে।
- বাংলাদেশে প্রাইজবন্ড কখন চালু হয়?
- বাংলাদেশে কত ধরনের প্রাইজবন্ড চালু আছে?
- প্রাইজবন্ড পুরস্কার সবাই পায় কি?
- সব সময়, সকল ব্যাংকে প্রাইজবন্ড পাওয়া যায় না কেন?
- প্রতি ড্রতে কত জন প্রথম পুরস্কার পায়?
- প্রাইজবন্ডে লভ্যাংশের হার কত?
- অবিক্রীত প্রাইজবন্ড কি ড্রর আওতায় আসে?
- সাধারণ মানুষ প্রাইজবন্ডের পুরস্কার পায় না কেন?
- বিজয়ী প্রাইজবন্ড পরবর্তীতে কি হয়?
- পুরাতন সিরিজের প্রাইজবন্ড কেনা ভালো হবে নাকি নতুন সিরিজের?
- প্রাইজবন্ড পুরস্কারের জন্য সিরিজের গুরুত্ব কতটুকু?
- বাৎসরিক পুরস্কারের পরিমাণ
- প্রাইজবন্ডে বিনিয়োগের ঝুঁকি ও সাবধানতা:
- কতদিনের মধ্যে পুরস্কারের টাকা তুলতে হয়?
- প্রাইজবন্ডের নাম্বার কীভাবে ডিলিট করবেন?