একজনের প্রাইজবন্ড নাম্বার দিয়ে অন্য ব্যক্তি পুরস্কার নিতে পারবে?

একজনের প্রাইজবন্ড নাম্বার দিয়ে অন্য ব্যক্তি পুরস্কার নিতে পারবে?

প্রাইজবন্ডের শর্তাধীনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, "অনুষ্ঠিত ড্রতে যে বন্ড পুরস্কার লাভ করবে, তার বহককেই সেই পুরস্কার দেওয়া হবে।" এর মাধ্যমে প্রাইজবন্ড একটি বাহক দলিল হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তির হাতে মূল প্রাইজবন্ডটি রয়েছে, তিনি শুধুমাত্র পুরস্কার দাবি করতে পারবেন। মালিকানা প্রমাণের জন্য নাম নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। প্রাইজবন্ডের মালিক হিসাবে যে ব্যক্তি মূল প্রাইজবন্ডটি ধারণ করেছেন, তাকেই পুরস্কার প্রাপক হিসাবে গণ্য করা হবে।

স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য একটি উদাহরণের মাধ্যমে আলোচনা করা হলোঃ
ধরুন, আপনার কাছে একটি প্রাইজবন্ড আছে যার নম্বর বিজয়ী হয়েছে। যদি আপনি সেই প্রাইজবন্ডটি হারিয়ে ফেলেন বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে আপনি পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না। কারণ, আপনার কাছে তখন মূল প্রাইজবন্ডটি নেই।

যদিও আপনি বিজয়ী নম্বরটি জানেন, তবুও আপনি পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না। এটির কারণ, প্রাইজবন্ডের পুরস্কার প্রাপক হিসাবে বিবেচিত হবে কেবলমাত্র বহক। প্রাইজবন্ডের ফলাফল বা বিজয়ী নাম্বার প্রকাশ হয় পেপার পত্রিকা বা বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। এই নম্বর প্রকাশের পর সবাই তা দেখতে পারেন। এবং এই কারণে, আপনি বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য দাবি করতে পারবেন না।

আপনি যদি তুলতে না পারেন তবে অন্য কেউ আপনার প্রাইজবন্ড নম্বর বা প্রাইজবন্ডের ফটোকপি দিয়ে পুরস্কার প্রাপ্ত করতে পারবে না। আপনি যেই ব্যাংক থেকে প্রাইজবন্ড কিনেছেন, তাহলে ব্যাংক সেই বন্ডের নাম্বার জানে। আপনি যদি সেই নাম্বারে বিজয়ী হন, ব্যাংকটি তখন আপনার পুরস্কার দাবি করতে পারবে না।

➡️ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা উচিত:
◑ প্রাইজবন্ড নিরাপদে রাখুন: আপনার প্রাইজবন্ডটি সর্বদা নিরাপদে রাখুন এবং হারাতে বা চুরি হতে দেবেন না। সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিন এবং তা ভালোভাবে অনুসরণ করুন।
◑ বহকই পুরস্কার দাবি করতে পারে: কেবলমাত্র যে ব্যক্তির কাছে মূল প্রাইজবন্ডটি শারীরিকভাবে রয়েছে, সেই ব্যক্তিই পুরস্কার দাবি করতে পারবে। আপনার প্রাইজবন্ডটি ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন এবং হারিয়ে যাতে না যায় সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
◑ বিজয়ী নম্বর জানা যথেষ্ট নয়: আপনার কাছে যদি বিজয়ী নম্বরটি থাকে, তবুও আপনি পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না। 
◑ প্রাইজবন্ডের মালিকানা প্রমাণের জন্য নাম নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। আপনার আইডেন্টিটি প্রমাণ করতে অন্যান্য মাধ্যমগুলি ব্যবহার করুন।
◑ প্রাইজবন্ডের কপি বা ফটোকপি দিয়ে পুরস্কার দাবি করা সম্ভব নয়। নিজের অর্থায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র এবং সঠিক পদ্ধতিতে পুরস্কার পেতে চেষ্টা করুন।
◑ মূল প্রাইজবন্ডটির সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

২,৮৫৬ মন্তব্য (০/০) ২৫ মে ২০২৪

Latest Blog

প্রাইজবন্ড কিনলে কতদিন পর জিতবেন?

প্রাইজবন্ডে যদিও পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম, তবুও মানুষ এই প্রাইজবন্ড কেনার মাধ্যমে নি...

২৯ মে ২০২৪ ৫,৬৫৫

জোড়া বন্ডের সুবিধা অসুবিধা:

জোড়া বন্ডের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এতে পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা অর্ধেক হয়ে যায়। দুটি বন্ড মিলে একটি ম...

২০ মে ২০২৫ ৯০৪

প্রাইজবন্ড কিভাবে কিনতে হয়?

সারাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি শাখা অফিস থেকে সারা বছর এবং যেকোনো সময় প্রাইজবন্ড কেনা যায়। এছাড়াও...

০৮ মে ২০২৪ ৬,২৮৫

৫০০ টাকার প্রাইজবন্ডে ৩০ লাখ টাকা পুরস্কার! এক ড্র'তেই লাইফ...

প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর একটি অনন্য কৌশল রয়েছে, যেখানে আপনি ৫০০ টাকার প্রাইজবন্ড তৈর...

২৫ আগষ্ট ২০২৪ ৪,৮০৩

বরিশাল বিভাগের জন্য প্রাইজবন্ড ড্র কবে হবে?

প্রাইজবন্ড ড্র সারা বাংলাদেশের জন্য একই দিনে এবং একই প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রাইজবন্ড ড্র বরিশা...

০৫ জুন ২০২৪ ২,১৯৬

১১৯ তম প্রাইজবন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পুরস্কার বিজয়ী ০...

৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হলো ১১৯তম প্রাইজবন্ডের ড্র। এই ড্রয়ের সবচেয়ে আকাঙ্খিত পুরস্কার, প্...

৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৯,৯০০

১১৭তম প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই ড্র’তে নতুন করে “ঘগ” সিরিজটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে এবার ড্র’তে নতুন একটি প্রথম পুরস্কারস...

৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৩০,০৯৪

প্রাইজবন্ডের ড্র কিভাবে অনুষ্ঠিত হয়?

প্রাইজবন্ডের ড্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে 'ড্র' কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হয়। ড্র অনুষ্ঠ...

০৭ মে ২০২৪ ৩,২২৩

প্যাকেজের মেয়াদ লাইফটাইম কি এবং কেন?

আমাদের প্রধান লক্ষ্য শুধু বর্তমান গ্রাহকদের উপর বার্ষিক চার্জের বোঝা চাপানো নয়, বরং একটি আকর্ষণীয়...

১৯ মে ২০২৫ ৭৬৩

প্রাইজবন্ড সম্পর্কিত ব্লগ সমূহ